ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন আমদানি করা পণ্যের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি করা পণ্য দিয়ে উৎপাদিত সব ধরণের পণ্যের দামও বাড়বে বর্তমানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৫ শতাংশ, মানুষে আয় এবং ক্রয় ক্ষমতা আরো হ্রাস পাবে এবং শিল্পেরই উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে ডলারের দাম ১১৭ টাকায় আটকিয়ে রাখলেও মজুত কমবে, বৈধ পথে ডলার আসা কমে যাবে এবং বাজার অস্থির হয়ে যাবে

পণ্যমূল্যে বাড়বে অস্থিরতা

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১০ মে ২০২৪, ১২:১৫ এএম | আপডেট: ১০ মে ২০২৪, ১২:১৫ এএম

 

ডলারের বিপরীতে টাকার বিপর্যয়কর অবমূল্যায়ন হয়েছে। এক ডলারের অফিসিয়ালি দাম ১১০ টাকা থেকে প্রায় ৭ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১১৭ টাকা। টাকার এই অবমূল্যায়ন দেশের অর্থনীতি এবং বাজারে ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে। আমদানি করা পণ্য এবং আমদানি করা কাঁচামাল দিয়ে উৎপাদিত পণ্য ও খাদ্যের দাম বাড়বে। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) একটি জরিপের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে বর্তমানে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৫ শতাংশ। অথচ গত মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং ফেব্রুয়ারিতে ছিল মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। বাড়তি এ মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ নিদারুণ কষ্ট করছেন। অন্যদিকে টাকার মান কমে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় গতকাল খোলা বাজার থেকে ডলার উধাও হয়ে গেছে। বিদেশমুখী মানুষ পড়েছেন বিপদে। উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশমুখী শিক্ষার্থীরাও পড়ে গেছেন মহাসংকটে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিজার্ভ কমে যাওয়ায় মূলত ডলারের বাজারে অস্থিরতা। দেশে দুই বছরের বেশি সময় ধরে ডলার সংকট চলছে। এ সময়ে ডলারের বিপরীতে টাকার প্রকৃত অবমূল্যায়ন হয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশের বেশি। সংকটের কারণে ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তারা প্রয়োজনীয় এলসি খুলতে পারছেন না। ফলে সার্বিক আমদানিসহ শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি, মধ্যবর্তী পণ্য ও কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলা কমছে। এমন পরিস্থিতিতে সব শিল্পেরই উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বেসরকারি বিনিয়োগ ও রফতানিতে। এতে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিও কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ নিয়েও ডলার সংকটের সুরাহা করতে পারছে না। ডলারের দামের এই লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ব্যয় অনেক বেড়েছে। এর প্রভাবে পড়েছে পণ্যের দাম, উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে কষ্ট বেড়েছে সাধারণ মানুষের। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমার ও মূল্যস্ফীতি বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। এর অন্যতম কারণ হিসেবে ডলার সংকটের কথা বলা হয়েছে। অর্থনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের শিল্প উৎপাদনের বেশির ভাগই আমদানির ওপর নির্ভরশীল। ফলে ডলার সংকটের দ্রুত সমাধান না হলে আমদানি ও উৎপাদন পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। এতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মানুষ খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে না পারলে সরকারের এত এত উন্নয়ন, মহাপ্রকল্প কোনো কাজে আসবে না।

জানতে চাইলে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ আমদানিনির্ভর দেশ। অধিকাংশ নিত্যপণ্যই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে ডলারের দর বাড়ানো হয়েছে। এতে আমদানি খরচ নিশ্চিতভাবে বাড়বে। আর আমদানি খরচ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাবে হু হু করে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুব আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ডলারের দর বৃদ্ধির ফলে আমদানি খরচ বাড়বে। আমদানি করা প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়বে, পাশাপাশি আমদানি করা পণ্য দিয়ে উৎপাদিত পণ্যের দামও বেড়ে যাবে। তবে রফতানিকারকরা উপকৃত হবেন।
অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান মনে করেন, মূল্যস্ফীতি কমাতেই সুদের হার বাড়ানো হয়েছে। গতকাল ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ২৯তম বার্ষিক ইউএস ট্রেড শো-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ডলার ও সুদের হার বাড়ানো সময়ের দাবি। মূল্যস্ফীতি কমাতেই সুদের হার বাড়ানো হয়েছে। দেশের অর্থনীতির বুনিয়াদ বেশ শক্তিশালী। এর ফলে আমদানি বা দেশের অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কেননা অনেক বেশি মূল্যেই আমাদের পণ্য আমদানি করা হতো।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বিনিময় মুদ্রা ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশের টাকার দাম কমানো হয়েছে। এতে করে রফতানি আয় হিসেবে গার্মেন্টস ব্যবসায়ীসহ হাতেগোনা কিছু রফতানিকারক প্রতি ডলারের বিপরীতে ৭ টাকা বেশি পাবেন। এ জন্য কয়েকশ’ রফতানিকারক বেজায় খুশি। কিন্তু দেশের কয়েক হাজার আমদানিকারক এবং ১৭ কোটি মানুষের ভোগান্তি আরো বাড়বে। আমদানিনির্ভর দেশ হওয়ায় বিদেশ থেকে যেসব পণ্য আমদানি করা হবে সেগুলোর দাম বাড়বে। পাশাপাশি আমদানি করা কাঁচামাল এবং চাল, ডাল, গাড়িসহ বিভিন্ন নিত্যপণের দাম বাড়বে। এমনকি জ্বালানি তেল ও সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে এবং দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামও বেড়ে যাবে।

এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), এলপিজি, পুরনো লোহার টুকরো (রড তৈরির প্রধান কাঁচামাল), ক্লিংকার (সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল), অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, সার, অপরিশোধিত চিনি, তুলা (বস্ত্র খাতের কাঁচামাল), গম, পাম তেল, ফার্নেস অয়েল ও ডিজেল, শিল্প-কারখানার যন্ত্র, কেমিক্যাল, বস্ত্র খাতের কাঁচামাল, ইলেকট্রনিক পণ্য ও আসবাবপত্র, গার্মেন্টস পোশাক তৈরির কাঁচামাল, নানা ধরনের খাদ্যশস্য, মসলা, তুলা, মোটরযান, চিনিজাতীয় পণ্য, জ্বালানি, ইস্পাতের কাঁচামাল, খনিজ জ্বালানি, ব্রয়লার মুরগির খাবার, তেলবীজ, তুলাসহ অনেক পণ্য ও কাঁচামাল। এখন এসব পণ্যের আমদানিতে দাম বেশি পড়বে; ফলে বাজারেও দাম বেড়ে যাবে। মানুষ এমনিতেই পণ্যমূল্যে দিশেহারা। আন্তর্জাতিক মানের কয়েকটি গবেষণা সংস্থার জরিপে বলা হয়েছে, পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়া এবং ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় নি¤œবিত্ত এমনকি মধ্যবিত্তদের অনেক পরিবার খাবার কমিয়ে দিয়েছে। ডলারের বিপরীতে টাকার বড় অবমূল্যায়নে সব পণ্যের দাম বাড়বে। মানুষের আয় এবং ক্রয়ক্ষমতা আরো হ্রাস পাবে।

পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, ডলারের মূল্য ৭ টাকা বাড়ায় বাজারে সর্বনাশ হয়ে যাবে। নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাবে, আগামী ৬ মাসের মধ্যে দেশের মানুষ সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখবে। এখন যে পণ্যটি আমদানি করতে দিতে হচ্ছে ১০০ টাকা, শুধু ডলারের দাম বাড়ার কারণে বাড়তি ৭ টাকা ৭০ পয়সা গুনতে হবে। এর সঙ্গে অন্যান্য খরচও রয়েছে।

ঢাকা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির ফলে বাজারে এর প্রভাব পড়বে। সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়বে। বাংলাদেশ ব্যাংক যা-ই করছে, দ্রুত যেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। দেরি হলে মানুষের কষ্ট বাড়বে। দীর্ঘ সময় ধরে মানুষ কষ্টের মধ্যে আছে। করোনাভাইরাসের মধ্যে আমরা যে সংকটে পড়েছিলাম পরবর্তী সময়ে যে কয়টি দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, বাংলাদেশ তার মধ্যে সামনের সারিতে ছিল। কিন্তু এখন যে সংকটের মধ্যে আছি ঘুরে দাঁড়াতে পারছি না।

ডলারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) সিনিয়র গবেষক আশিকুল ইসলাম বলেন, আমদানিতে একটি বিনিময় হার, রফতানিতে খোলা বাজারে আরেকটি বিনিময় হার। ভিন্ন ভিন্ন বিনিময় হারে একটি দেশের অর্থনীতি চলতে পারে না। বাজারে ডলারের দাম ইতোমধ্যে ১১৭ টাকা চলছে। খাতা-কলমে না থাকলেও বাজারে এটা ঠিকই চলছিল। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষণার ফলে প্রবাসী আয় আকর্ষিত হবে; পাশাপাশি রফতানি আয়ও দ্রুত দেশে ফেরত আসবে। এর ফলে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
ভোগ্যপণ্যের প্রধান পাইকারি বাজার মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মওলা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক হঠাৎ করে কেন ডলারে ৭ টাকা করে বৃদ্ধি করেছে, তা বুঝলাম না। আমরা যেহেতু বেশিরভাগ নিত্যপণ্যই আমদানি করি সেহেতু আমদানি পণ্যে নিঃসন্দেহে বাড়বে, যার প্রভাব পড়বে ভোক্তাদের ওপর। আমরা তো বেশি টাকায় পণ্য কিনলে বেশি দামে বিক্রি করব। তবে যারা রফতানি করবে তারা হয়তো কিছুটা উপকৃত হবেন।

জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এতদিন ডলারের দর ১১০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও ব্যাংকগুলো ১২০ থেকে ২৩ টাকায় ক্রয় করেছে। এ জন্য দেশে ডলারের মজুত বেড়েছে। কিন্তু এখন যদি ১১৬ থেকে ১৮ টাকায় এটিকে আটকিয়ে রাখা হয় তাহলে নিশ্চিতভাবেই ডলারের মজুতে টান পড়বে। অর্থাৎ কম দরে ডলার কিনতে শুরু করলে বৈধ পথে ডলার আসা কমে যাবে। ডলারের মজুতও কমে যাবে। এতে মূল্যস্ফীতি লাগামহীন হওয়ার পাশাপাশি ডলার বাজারে আবারও অস্থিরতা দেখা দেবে।

 


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

কোপার ব্রাজিল দল থেকে ছিটকে গেলেন এদেরসন

কোপার ব্রাজিল দল থেকে ছিটকে গেলেন এদেরসন

সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ, নোয়াখালীর হাতিয়ায় তীরে ফিরেছেন জেলেরা

সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ, নোয়াখালীর হাতিয়ায় তীরে ফিরেছেন জেলেরা

চৌদ্দগ্রামে বিদেশ প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণে সেমিনার অনুষ্ঠিত

চৌদ্দগ্রামে বিদেশ প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণে সেমিনার অনুষ্ঠিত

দখল দূষণ ও ফারাক্কার প্রভাবে মরা খালে পরিণত ঝিনাইদহের ১২ নদী

দখল দূষণ ও ফারাক্কার প্রভাবে মরা খালে পরিণত ঝিনাইদহের ১২ নদী

বরগুনায় সাংবাদিকদের নিয়ে এলজিইডির জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

বরগুনায় সাংবাদিকদের নিয়ে এলজিইডির জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

আগামীকাল বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা

আগামীকাল বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা

রাইসির এমন মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন মুসলিম বিশ্ব

রাইসির এমন মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন মুসলিম বিশ্ব

রাইসির মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়ে হামাসের বিবৃতি

রাইসির মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়ে হামাসের বিবৃতি

আধুনিক যুদ্ধেও কেন রাশিয়া দেড়শো বছরের পুরনো মোর্স কোড ব্যবহার করছে?

আধুনিক যুদ্ধেও কেন রাশিয়া দেড়শো বছরের পুরনো মোর্স কোড ব্যবহার করছে?

রাইসির মৃত্যুকে ‘ঐশ্বরিক ন্যায়বিচার’ বললেন ইহুদি পুরোহিতরা

রাইসির মৃত্যুকে ‘ঐশ্বরিক ন্যায়বিচার’ বললেন ইহুদি পুরোহিতরা

লামায় শেষমুহুর্তে জমে উঠেছে ভোটের লড়াই

লামায় শেষমুহুর্তে জমে উঠেছে ভোটের লড়াই

ইব্রাহিম রাইসি ছিলেন আমার প্রিয় একটি ভাই : এরদোগান

ইব্রাহিম রাইসি ছিলেন আমার প্রিয় একটি ভাই : এরদোগান

কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের বেহাল দশা।। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা

কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের বেহাল দশা।। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা

নোয়াখালীর হাতিয়াতে ৩০ কেজি হরিণের গোশত জব্দ

নোয়াখালীর হাতিয়াতে ৩০ কেজি হরিণের গোশত জব্দ

জরুরি বৈঠক ডেকেছে ইরানের মন্ত্রিসভা

জরুরি বৈঠক ডেকেছে ইরানের মন্ত্রিসভা

রাঙ্গামাটিতে চলছে ইউপিডিএফের সড়ক ও নৌপথ অবরোধ

রাঙ্গামাটিতে চলছে ইউপিডিএফের সড়ক ও নৌপথ অবরোধ

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের স্থানে তাপের উৎস খুঁজে পেল তুর্কি ড্রোন

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের স্থানে তাপের উৎস খুঁজে পেল তুর্কি ড্রোন

রাইসিকে সর্বোচ্চ পদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল

রাইসিকে সর্বোচ্চ পদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল

ইরানের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার

ইরানের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার

প্রথম ভারতীয় হিসাবে ‘গ্লোবাল ডিসরাপ্টর্স’ তালিকায় দীপিকা

প্রথম ভারতীয় হিসাবে ‘গ্লোবাল ডিসরাপ্টর্স’ তালিকায় দীপিকা